হঠাৎ ফেসবুকে দেখি একজন একটা লিংক শেয়ার করেছে – ওয়ার্ডপ্রেস রিলিজ মিট আপ রাজশাহী আগস্ট ২০২৩। আমি ভাবলাম রাজশাহীতে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে কাজ হচ্ছে অথচ আমি জানি না। যেতে খুব ইচ্ছে হলো কিন্তু শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে পিছু হটে গেলাম। পোস্টে প্রশ্ন করেছিলাম কোন স্ট্রিমিং বা রেকর্ড করে ইউটিউব আসবে কিনা। বলল না এ রকম কোন ব্যবস্থা থাকছে না। তো আমি আশা ছেড়ে দিলাম। বন্ধু শামীমকে ফোন দিলাম যে ওকে অনুরোধ করি আমার সাথে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ফোন করে আবার না করলাম। মজার বিষয় হচ্ছে যে লিংক শেয়ার দিয়েছিল তাকে বললাম। সুমন সেও যেতে ইচ্ছুক। সুমন আমাকে সাথে নিয়ে যেতে চাইল।
ব্যস হয়ে গেল আর কি। আমার টেনশন ছিল আমার শারীরিক অবস্থা কেমন থাকবে তাই নিয়ে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে ওই অবস্থাতেই কোন মতে বের হয়ে গেলাম। সুমন মোহনপুর থেকে বিমান চত্বরে পৌঁছাতেই দুজনে রিক্সায় উঠে গেলাম। ঝির ঝির বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। হালকা ভিজতে ভিজতে কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম।
এখানে আমি প্রথমবার এলাম। রিক্সা ভুল করে আমাদের সিলিকন ভ্যালি নিয়ে গেছে। আমরা বুঝলাম এখানে নয়। রাজশাহী হাইটেক পার্ক প্রধান বিল্ডিং এ যেতে হবে। চলে আসলাম। কিন্তু নিচে কেউ নেই তথ্য জানার জন্য।
এদিকে নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাচ্ছে। নীচ তলা থেকে খুঁজতে খুঁজতে চার তলায় চলে এলাম। পেয়ে গেলাম এখানে। আমরাও কনফারেন্স রুমে ঢুকে গেলাম। অনুষ্ঠান ততক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। পরিচিতি পর্ব শেষে নাজমুল হোসেন ভাই তার বক্তব্য শুরু করে দিলেন। মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল।
ওয়ার্ডপ্রেস রিলিজ করল ৬.৩ ভার্সন। তার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হলো। আফসোস হল কোন প্রেজেন্টেশন দেখানোর সুযোগ ছিল না। তাই নাজমুল হোসেন ভাই আমাদের কিছু দেখাতে পারলেন না সেভাবে।
এরপর হালকা নাস্তা দেয়া হল আর উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ করে দেয়া হল। অনেকেই অনেক মতামত দিলেন। মাসে অন্তত একটা মিট আপ করার প্রস্তাব করা হল।
মিটিং শেষের দিকে মোবারক আলী ভাই তার কিছু বক্তব্য পেশ করলেন। আর হ্যাঁ স্পনসরকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরাও তাদের বক্তব্য রাখলেন।
মিটিং শেষে ফটো সেশনের ব্যবস্থা করা হল। সবাই মিলে অনেক ছবি তোলা হলো।





যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিল তাই অনেকেই বসে পড়ল আর অন্যদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লাগল। এদিকে সুমনকে বাড়ি ফিরতে হবে। আর আমারও খুব ক্লান্ত লাগছে। সন্ধ্যা হয়ে গেলো আমরা দুজন বেরিয়ে পড়লাম। যদিও সবার সাথে আলোচনায় যুক্ত হতে চাচ্ছিলাম কিন্তু এ দফা হয়নি।
সুমনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেই নয়। সুমন আমাকে নিয়ে যেতে না চাইলে আমি একা যাওয়ার সাহস করতে পারতাম না।
অনেক দিন পর এরকম জন সমাগমে হাজির হলাম। অনুভূতি অন্যরকম ছিল।
নাজমুল হোসেন
খুবই চমৎকার লিখেছেন মাশাল্লাহ ।
খন্দকার শাহী
জাযাকাল্লাহু খাইরান। লেখার তেমন অভ্যাস নেই। হঠাৎ কি মনে করে লিখে ফেললাম। দোয়া রাখবেন।
Orrnob Mahmud
আপনি এতো সুন্দর বাংলা লিখতে পারেন, সেটা আগে জানতাম না।
খন্দকার শাহী
না গো ভাই। লিখতে আর পারি কই। চেষ্টা করি আর কি। হয় কি না জানা নেই।